শেখ মো. কামাল উদ্দিন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপিত হয়েছে। “নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্বগড়ি, শেখ হাসিনার বারতা, নারী পুরুষ সমতা” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান দুপুর ১২টায় কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাওসার ভুইয়া। কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা, কসবা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা শাহীন সুলতানা, কসবা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শহিদুল্লাহ, কসবা থানা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক- শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পর্যায়ে ৩টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৩জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সফল জননী নারী উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মোছা. মমতাজ বেগম, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ গ্রামের মারুফা আক্তার এবং শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের উম্মে সালমা ফামী কসবা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে বিজয়ী হন। এদের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ গ্রামের মারুফা আক্তার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। অনুষ্ঠান শেষে কসবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে পিঠা-পুলি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।