মো. হোসেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : এলাকার জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের বাধাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর বাজার থেকে রাজঘর পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও ঠিকাদারগণ বেপরোয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করেছেন যে জসিম মিয়া দানা মিয়া নামে দু’জন রাস্তা মেরামতের কাজে জড়িত। তাদেরকে বার বার বলার পরও তারা রাতের আঁধারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় যে, ৩নং ইটের খোয়া ও ইটের গুড়া দিয়ে রাস্তার মেরামত এর কাজ চলছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। আশেপাশের ১০/১২টি
গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মেরামতে যে প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে তা নজির বিহীন। নির্বাচিত
জনপ্রতিনিধি সাবেক ও বর্তমান মিলে কাজে চালিয়ে যাচ্ছে। কারো কথা বা বাধার তোয়াক্কা না করে এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী মোঃ আলাল মিয়া জানান, ঠিকাদার লাভ করে চলে যাবে কিন্তু ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে সারা বছর আমাদের চলতে
হবে । এটা মেনে নেওয়া যায় না। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রউফ বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ জানানো হয়েছে দেখা যাব কি হয়? না হলে এলাকার আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। আমরা এ ব্যাপারে মাননীয় এমপি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সদর
উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানগণ সহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে যথাযথ তদন্তের দাবি করছি। অভিযুক্ত ঠিকাদার সহ যারা এই অনিয়মের সাথে যুক্ত তাদের যথাযথ শাস্তির জোড় দাবি করছি।
উল্লেখ্য, এই রাস্তাটি এলাকাবাসীর চলাচলের বিশেষ করে শহরের সাথে সম্পর্ক রাখার একমাত্র রাস্তা যার মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন চলাচল করতে থাকেন। রাস্তাটির কারিগরী প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে, ৪.১ কি:মি: রাস্তাসহ শোল্ডার ও স্লোভ, প্রটেকটিভ ওয়াল এবং হার্ড বেড প্রিপারেশন ও WBM ৭৫ মি: মি: ও মি: মি: ডেন্স কার্পেটিং করতে হবে যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৭ টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের পর রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি। যদি কাজের মান খারাপ হয় তাহলে আবারো প্রায় ১০ বছরের জন্য এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বাড়াবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে সকলেই প্রত্যাশা করছেন।