ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবজাতকের হাত ভাঙার ৫দিনের তদন্ত প্রতিবেদন মিলেনি ৩৫দিনেও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 21 April 2022, 245 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় এক শিশুর হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে গত ১৫ মার্চ এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছিল, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠনের ৩৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি কমিটি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও শিশুটির পরিবার সূত্র জানা যায়, গত ৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিনের প্রসব ব্যথা উঠলে জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ে গ্রিন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

এরপর রাতে হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক তাসনুভা সাঈদ তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করলে সাবিনা একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন।

নবজাতককে পরিবারের সদস্যদের কাছে দেওয়া হলে তার বাম হাত ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। পরে শিশুটির মামা মোস্তাকুল ইসলাম গত ১৩ মার্চ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এতে বলা হয়, পাঁচ কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে। গত ২০ মার্চ থেকে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করে। কিন্তু সিভিল সার্জন অফিসের আদেশের ৩৫ দিন অতিবাহিত হলেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি কমিটি।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী শিশুটির মামা মোস্তাকুল ইসলাম জানান, আমি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদেরকে তদন্ত কমিটির লোকজন ডেকে নিয়ে বক্তব্যও নিয়েছে। কিন্তু অনেক দিন হলো এখনও পর্যন্ত জানতে পারলাম না তদন্তের কী হলো? আসলে সঠিক বিচার পাব কিনা?

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. আকতার হোসেন জানান, আমরা অভিযুক্ত চিকিৎসক, হাসপাতাল ও অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনেছি। তদন্ত ইতোমধ্যে আমরা শেষ করেছি। কমিটির সদস্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যস্ততার কারণে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করতে মিলিত হতে পারছি না। দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, শিশুর হাত ভাঙার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তারা অতিরিক্ত সময়ের জন্য আবেদনও করেননি। আমাদের তিনদিন দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম থাকায় অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন, তাই হয়তো দিতে পারেননি। বাস্তবে তদন্ত কমিটি যা পাবে, তাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করবে।