মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সফল একটি নাম ছাত্রনেতা শাহাদাৎ হোসেন শোভন।শৈশব থেকে নেতৃত্ব দেবার মানসিকতা তাকে ধীরে ধীরে পৌঁছে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে।
সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ উপনির্বাচনের দিনক্ষণ না পেরুতেই গুঞ্জন উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন । উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বেশ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল আগামী মাসেই হতে পারে এমন ধারণা সবার মনে। তাই এই নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন এমন আলোচনা চলছে শহরজুড়ে। তবে একটি নাম সবার মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। সে নামটি শাহাদাৎ হোসেন শোভনের।
তিনি এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।এতে জমজমাট একটি উপজেলা নির্বাচনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শোভনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে তার সংগঠনের নেতাকর্মী ও তার কর্মী সমর্থকেরা।
উল্লেখ, শোভনকে সদর আসনের এমপি ও গৃহায়ন মন্ত্রী সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলেও ভোটের মাঠে খবর চাউর হয়েছে। শোভন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্বে দুই মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শোভন ছাড়াও এই নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রথম থেকেই আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মহসিন মিয়া,জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেলেও বিএনপির কাউকে দৃশ্যমান ভাবে এখনো উপজেলা নির্বাচনের মাঠে দেখা যায় নি।
বিএনপি থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ প্রার্থী হবেন কি-না জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন,” আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে আমার দল কোন নির্বাচনে যাবে না।তবে দল যদি নির্বাচনে আসে তাহলে অবশ্যই আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।”
বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ ও এর বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। গতবারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনের কেউই এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। বিএনপিও এই নির্বাচনে অংশ নেবে না এটা প্রায় নিশ্চিত। তাই আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবে না। আর এ কারণেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে।
তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখনো কারো নাম জানা যায় নি।আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার আবারও নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতু এবং জেলা ছাত্রলীগ নেত্রী আফরিন ফাতেমা জুই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।