শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠিয়েছে। এরআগে বুধবার দুপুরে সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ এনে পৌর কাউন্সিলরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই মো. জামির হোসেন। কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন আখাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে তোফাজ্জল হোসেন সড়ক বাজারে তার দোকানের নির্মাণ কাজ করার সময় কাউন্সিলর সুজন মিয়া তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এসময় তোফাজ্জল হোসেন কাজ বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে কাউন্সিলর সুজন মিয়া ও তার দুইভাই সহ তোফাজ্জলকে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সুজন মিয়া তোফাজ্জল হোসেনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পীঠে গুরুতর জখম হয়। অভিযুক্তরা তোফাজ্জলের দোকান ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। তোফাজ্জলের পকেট থেকে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরের নারায়ণপুরের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন সড়ক বাজারের আদর আলী মার্কেটের দক্ষিণ পাশে দোকান রয়েছে। ওই দোকানের সীমানা নিয়ে পৌরশহরের খালাজুরা গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার সাথে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে আজিজ মিয়ার পক্ষ হয়ে কাউন্সিলর এ মারধরের ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, আটক সুজন মিয়াকে শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।