পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ জাহিদুলের স্বজনদের।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই ভণ্ড কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে (৩৬) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটক হওয়া ইস্রাফিল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৫ দিন আগে উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদারের দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় পাশের দোকানদার জাহিদুলকে সন্দেহজনকভাবে দায়ী করা হয়। এতে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
রোববার সকালে ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর বাজারের পাশে একটি মাদ্রাসা মাঠে রুটিপড়া খাওয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত সন্দেহভাজন অর্ধশত মানুষকে কথিত কবিরাজের দেওয়া একটি করে রুটিপড়া খাওয়ান দোকানদার দুলাল ও মামুন; কিন্তু জাহিদুলকে একসঙ্গে দুটি রুটি ও একটি ডিম খাওয়ানো হলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় স্থানীয়রা জাহিদুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে তার নিজ এলাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ডিমপড়া ও রুটিপড়া বাবদ গ্রহণ করা ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আহত জাহিদুলের বোন লিলি বেগম বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে বাজারের দোকানের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে রুটির সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। কথিত কবিরাজের কাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কবিরাজকে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।