ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চন্দনা রানী দাস নামে এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্তের খবর পাওয়া গেছে।
বরখাস্ত ওই শিক্ষিকা উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের পূর্ব বালিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত সোমবার (১লা আগস্ট) তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম। বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া।
বরখাস্তের কারণ সর্ম্পকে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে প্রতিবেশি সংগীতার কাছ থেকে স্বামীর অসুস্থতার কথা বলে এক লাখ টাকা ধার নেন চন্দনা। নানা দেন দরবারের পর ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকী টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
কোন উপায় না পেয়ে সংগীতা গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি কতৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরই প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.খোরশেদ আলম গত ১লা আগস্ট সোমবার তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা চন্দনার স্বামী একই ইউনিয়নের খাগালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পীযুষ দাসের বিরুদ্ধেও প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরুপের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
খাগালিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আরাফাত আলী বলেন, এই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগের শেষ নেই। সময়মতো প্রতিষ্ঠানে আসেনা। ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করে তারা। এদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসারের কাছে অনেকবার বলেছি।
এ বিষয়ে চন্দনা রানী দাসকে একাধিক ফোন করেও পাওয়া যায়নি। পরে তার স্বামী পীযুষ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অর্থ সংশ্লিষ্ঠ একটি বিষয়ে আমার স্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আইনি ব্যবস্তা গ্রহন করব।
পূর্ব বালিখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী দাস বলেন, চন্দনার সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে আমিও শুনেছি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) সে স্কুলে আসেনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.ইকবাল মিয়া বলেন, পহেলা আগস্ট থেকে ভলাকুট ইউনিয়নের পূর্ব বালিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা চন্দনা রানী দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।