জুয়েল মিয়া, আখাউড়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এডিপির অর্ধ কোটি টাকার কাজ টেন্ডার ছাড়াই ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প (এডিপি) ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উন্নয়ন সংশোধিত বাজেটে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা খাতের আওতায় ৩১ লাখ ও ২৫ লাখ টাকাসহ মোট ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।
এর মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন মেরামত, উপজেলা পরিষদের গ্যারেজ মেরামত, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাংলোতে যাতায়াতের রাস্তা মেরামত, উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টার করবী মেরামত, অফিসার্স কোয়ার্টার চামেলী মেরামত, উপজেলা পরিষদের অফিসার্স কোয়ার্টার কামিনী মেরামত সহ উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজের ৫৬ লাখ টাকার কাজ ভাগাভাগি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদারদের অভিযোগ, ওই ৫৬ লাখ টাকার কাজ টেন্ডার ছাড়াই কোটেশন (আরএফকিউ) পদ্ধতিতে উপজেলা প্রকৌশলী গোপনে কতিপয় প্রভাবশালী ঠিকাদারদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। বঞ্চিত ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে টেন্ডারের দাবি করেন তারা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি প্রভাব বিস্তার করে এ ভাগবাটোয়ারা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, এটাও একটা দরপত্রের প্রক্রিয়া। ২৩টি আলাদা কাজে ৫৬ লক্ষ টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে। ভাগ বাটোয়ারা হয়নি তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, টেন্ডার করে প্রক্রিয়া করার মত সময় হাতে ছিল না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ‘ভাগ বাটোয়ারার কিছুই নাই। আমরা খুব এন্ড অফ দ্য মোমেন্টে এই বাজেটটা পেয়েছি। আমরা এজ পার প্রসিডিউর পে অর্ডার করে প্রক্রিয়াধীন রেখে দিয়েছি। নিয়মের মধ্যে আছে।’