ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বেলা দুইটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। বেলা তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমার উদ্ধারকাজ শুরু করি। কিশোরগঞ্জের ডুবুরি দলকে ঘটনাস্থলে আসতে আমরা খবর পাঠিয়েছিলাম। এর মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এবং স্থানীয় লোকজন পানিতে নেমে উদ্ধারকাজ শুরু করি। পরে একপর্যায়ে স্থানীয় জেলেরা পানিতে জাল ফেলেন। জালেই ওই শিক্ষার্থীর লাশ আটকা পড়ে। চারটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।’
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে ৩২ জন কিশোর-তরুণ জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার তিতাসপাড়া থেকে নৌকায় ওঠে বনভোজনের উদ্দেশে বের হন। নতুন পানি দেখে কিশোর-তরুণেরা ওই নদীর একটি বিলের মধ্যে লাফালাফি শুরু করেন। বেলা দুইটার দিকে নদীর আমিরপাড়ার লইসকার বিলের পানিতে নৌকা থেকে ঝাঁপ দেয় শ্রাবণ। এভাবে দুইবার লাফ দেওয়ার পর তৃতীয়বার শ্রাবণ ডুবে যায়। তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা শ্রাবণকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ব্যর্থ হলে পরে বিষয়টি এলাকার স্থানীয় জেলেদের জানানো হয়। জেলেরাও চেষ্টা করে শ্রাবণকে উদ্ধার করতে না পারলে শ্রাবণের এক বন্ধু জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজন ও জেলেদের সহায়তায় জাল ফেলে শ্রাবণের লাশ উদ্ধার করেন।