দুপুরে ঢাকা থেকে মরহুমের মরদেহ তার মধ্যপাড়া জুবিলী রোডে নিয়ে আসা হয়। পরে বাদ মাগরিব শহরের ট্যাংকের পাড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে তার জামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মুফতি মুবারকউল্লাহ। নামাজে জানাজায় তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, আইনজীবী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী অংশগ্রহণ করেন। জানাজার নামাজ শেষে মরহুমের মরদেহ শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার ছোট ছেলে আশিক আলী রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আব্বা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
হামিদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামে ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবীন আইনজীবী হামিদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির দুইবারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হামিদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের আইন কর্মকর্তা (পিপি) ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। জেলা শহরের মধ্যপাড়া জুবিলী রোডে পরিবার নিয়ে বসবাস করা হামিদুর রহমান ব্যক্তি জীবনে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বনামধন্য গাইনী চিকিৎসক শারমিন সুলতানা, আইনজীবী রনি ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী আশিক আলী রহমানের পিতা।