শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, নিহত ইসতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি সম্প্রতি পৌর ডিগ্রী কলেজে থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের ওই হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে নিহতের স্বজনরা। তারা এসময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নাকের সমস্যা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জেল রোডে আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন ইকরাম। বিকেল তিনটার সময় হাসপাতালের সার্জন ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তিv তত্ত্বাবধানে তার নাকের পলিপাস অপারেশন করা হয়।
এরপর তাকে আশঙ্কাজনক ও অচেতন অবস্থায় বেডে নেওয়া হলে রোগীর করুণ অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করেন। রোগীর জ্ঞান না ফেরায় হাসপাতালের লোকজন পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ইকরামকে শহরের আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে পালিয়ে যায়। সেখানে শনিবার সকালে অচেতন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। এতে আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান খলিলুর বশির মানিক, হাসপাতালের সার্জন ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থিসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার টিকলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।