দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দূরের বিভিন্ন গন্তব্য যাতায়তকারীরা। তবে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুকরা। হেফাজতের তান্ডবের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্র ৮ জোড়া ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। এ অবস্থায় বাস চলাচল বন্ধে যাত্রীরা বেশি বিপাকে পড়েছে।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও দুপুর ১২টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে জেলার অভ্যন্তরে লোকাল বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পৌর এলাকার ভাদুঘর বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস না পেয়ে ফিরে আসা যাত্রী বিল্লাল মিয়া বলেন, পারিবারিক কাজে ঢাকায় যাওয়ার জন্য তিনি বিকেল ৩টার দিকে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে যান। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়- বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পৌর এলাকার কাউতলীতে গিয়ে দেখা যায় দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের বাসের দীর্ঘ লাইন। শামীম নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে নরসিংদীর মরজাল যাওয়ার জন্য পৈরতলা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ। বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া বলেন, ‘এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নয়। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই আমরাও দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য। তবে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা লোকাল বাস চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি।