মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : হবিগঞ্জে চা বাগান এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় ডাকাত দলের অন্যতম মূলহোতা ও লুন্ঠিত মালামালসহ ৩ জন সক্রিয় ডাকাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
গত ১২ ডিসেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক ১০:৪০ সময় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন অন্তর্গত সুরমা চা বাগানের মঈন টিলার সেকশন নং-২ এর তেলিয়াপাড়া চা বাগানের পতিত ঘরের সামনে পাকা রাস্তার উপর চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলো থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ রাস্তার উপর গাছ ফেলে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে যাত্রী ও ড্রাইভারদের হাত বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্রসহ মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর গাড়ীর চালক বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ১৬, তারিখ- ১৩/১২/২০২৩ ইং, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০ মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে
হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনার ছায়া তদন্ত
শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানি এর একটি আভিযানিক দল গত ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর অনুমানিক ২:৫ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার উক্ত চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা এমদাদুল হক মিলন, রিপন মিয়াসহ ৩ জন সক্রিয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন এমদাদুল হক মিলন, রিপন মিয়া(৩৮), মোঃ নাজমুল ইসলাম (৩১), মোঃ হৃদয় মিয়া (২৮),।
উক্ত ডাকাতি মামলার অন্যান্য পলাতক
আসামীদের গ্রেফতার করতে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।