ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনার ভাঙনের কবলে পড়েছে চারটি গ্রাম। নদীর পানির স্রোতে পানিশ্বর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী ১৫ টি চাতালমিলসহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া, লায়েরহাটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে বসতবাড়ি ছাড়া হয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে কয়েকশ পরিবার। বেকার হয়ে গেছে চাতালমিলের শ্রমিকরা। মেঘনার তীরের প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় আরও শতাধিক পরিবার ও চাতালমিল ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরের বর্ষার শুরুতেই নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার মেঘনার তীরবর্তী পানিশ্বর ইউনিয়নের ৭/৮টি পরিবারের বসতভিটা ও জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান গণি বলেন, কয়েক বছরে নদীর তীরবর্তী ১৭টি চাতালমিলসহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া, লায়েরহাটি গ্রামের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে অচিরেই পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি গ্রাম পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত শামসুমিয়াসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নদীর ভাঙনে আজ আমরা দিশেহারা। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকছি। স্রোতের বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনেরও মাএা বাড়ছে। আমরা জোড় দাবী জানাচ্ছি যেন ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্হা নেন কতৃপক্ষ।
পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর বর্ষার শুরুতেই লায়েরহাটির ৮টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহযোগিতা ও নদী ভাঙন থেকে এলাকা রক্ষা করার জন্য লিখিত আবেদন করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পুরো জেলায় নদী ভাঙন রোধে একটি সমীক্ষা চলছে। পানিশ্বর এলাকায় কিছু করার চেষ্টা করছি।
-(আ/ব্রা)