হার্ট ছিদ্র আখাউড়ার ৯ বছরের জুঁইয়ের, বাঁচতে আকুতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 9 November 2021, 429 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা সদরের জাহাঙ্গীর আলম পেশায় রিকশাচালক। তার স্ত্রী চম্পা বেগম মানুষের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। এই দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় ৯বছরের তানাছ ইসরাত জুঁই। জুঁই আখাউড়া উপজেলা সদরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দলবেঁধে জুঁইয়ের সহপাঠীরা স্কুলে যায়। ক্লাসের ফাঁকে মেতে উঠে নানা খুনসুঁটি আরও দুরন্তপনায়। কিন্তু জুঁইয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে অসুস্থতার কারণে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জানিয়েছে জুঁইয়ের হার্টে ছিদ্র রয়েছে।

জুঁইয়ের পরিবার জানায়, গত ৫-৬ মাস ধরে জুঁইয়ের বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা হচ্ছে। একটু হাঁটাচলা করলেই হাপিয়ে উঠে সে। তখন বুকে ব্যাথা বেড় যায় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেজন্য এখন স্কুলেও যেতে পারে না জুঁই। এছাড়াও বুক ব্যাথার কারণে মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে সে। ব্যাথা কমানোর জন্য গ্যাস্ট্রিকেট ওষুধ খাওয়ানো হতো। কয়েক মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জুঁইয়ের হার্ট ছিদ্র জানিয়ে ওকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থবা হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যেতে বলে। এরপর হৃদরোগ ও হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা বলেন, দ্রুত জুঁইয়ের হার্টের অপারেশন করতে হবে। দিনদিন ওর রোগটা জটিল হচ্ছে। ভারতে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সক্ষমতা নেই জানালে, ডাক্তাররা ঢাকায় অপারেশন করতে রাজি হন।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জুঁইয়ের অপারেশন করতে খরচ হবে ৩ লাখ টাকা। কিন্তু তার হতদরিদ্র বাবা-মায়ের পক্ষে এতো টাকার যোগান দেওয়া সম্ভব না।

জুঁই জানায়, বুক ব্যাথার কারণে তার অনেক কষ্ট হয়। তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, খেলতেও পারে না। সে সুস্থ হয়ে আবারও স্কুলে যেতে চায়। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগীতা চেয়েছে জুঁই।

জুঁইয়ের মা চম্পা বেগম বলেন, জুঁইয়ের অপারেশনের জন্য ৩ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু এতো টাকা যোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমার স্বামীর একটি হাত ভাঙা। এই ভাঙা হাত নিয়েই রিকশা চালায় সে। স্বামীর আয়ে সংসার চলে না বলে আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। দুইজনের অল্প আয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। টাকার জন্য অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না। মা হয়ে মেয়ের এই কষ্ট সহ্যও করতে পারছি না। আমার নিজের জীবন দিয়েও যদি মেয়ের কষ্ট কমাতে পারতাম! মেয়েটা যখন ব্যাথায় ছটফট করে কাঁদে, তখন নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়। আমার মেয়েকে বাঁচাতে সবার সহযোগীতা চাই। সবাই মিলে আমার মেয়েটাকে বাঁচান।
অসুস্থ জুঁইয়ের চিকিৎসায় সহযোগীতার জন্য তার মা চম্পা বেগমের সঙ্গে এই নম্বরে ০১৭০৩৫৫২৬৩৬ যোগাযোগ করা যাবে। (তথ্যসূত্র- সরোদ)