লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী খাজেরা খাতুন জানান, তার ৩৮ শতক জায়গা সরকার থেকে লিজ নিয়ে গত ৩০-৩৫ বৎসর যাবত ভোগদখল করে আসছেন রহমত আলী।
রহমত আলী মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন মাটি ভরাট করে একটি টিনের ঘর তুলে তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। হঠাৎ অভিযুক্ত শামসু মিয়া (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বার), আশব আলী, কফিল উদ্দিন, শহিদ মিয়া, নাছির, নজরু মিয়া, সালাম মিয়া, মানিক মিয়াসহ এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় লোক মৃত রহমত আলীর ঘর ভেঙে লিজের জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল এবং মার্কেট করার পাঁয়তারা করছে।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, তারা আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক ইট রেখেছে এবং তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে।
অভিযুক্ত শামসু মিয়া বলেন, এটা মসজিদের জায়গা, রহমত আলী ৩৮ শতক জায়গা লিজ এনেছে সত্য। রহমত আলী বলছিল মসজিদে জায়গা দিবে। না দিয়ে কিছু দিন আগে তারা এই জায়গায় ঘর তুলেছে। পরে মসজিদের লোকেরা বাধা দেয়।
বিধবা নারীর ঘর ভাঙার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের মুসল্লিরা ভেঙেছে। এ ব্যাপারে আমি জানি না।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। জায়গাটি মৃত রহমত আলী সরকার থেকে লিজ এনেছে। কাগজপত্রে জায়গার মালিক মৃত রহমত আলী। এখানে তৃতীয়পক্ষের একজন লোক ওই জায়গাটি মসজিদে দান করছে। অথচ ওই লোক জায়গার মালিক না। সে কারণে ঝামেলা।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ দিয়েছে কি না- আমার জানা নেই। দিয়ে থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে