রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘের বাংলাদেশী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত ৯ জুন বৃহস্পতিবার তাঁকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি), স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ (এলএলডিসি) ও ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জের উন্নয়নশীল দেশের (এসআইডিএস) জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘের ইউএন-ওএইচআরএলএলএসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে জামাইকার কোর্টেনে র্যাটরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
রাবাব ফাতিমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মৌলভীপাড়ার মরহুম ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর বড় সন্তান মরহুম আমীর আলী চৌধুরীর কন্যা। এছাড়াও তিনি বিশিস্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমেদ চৌধুুরী (বাবুল চৌধুরী), মরহুম গজেনফর আলী চৌধুরী এবং জাবেদ চৌধুরী কায়েস এর ভাতিজি।
পেশাগত কূটনীতিক রাবাব ফাতিমার দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কূটনীতি, নীতিমালা প্রণয়ন, অ্যাডভোকেসি এবং প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগের আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাবাব ফাতিমা। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় (আইওএম) দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন রাবাব ফাতিমা। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আইওএমের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সংস্থাটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক উপদেষ্টা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে ২০০৬ ও ২০০৭ দুই বছর লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ে মানবাধিকার প্রধান ছিলেন রাবাব ফাতিমা।
রাবাব ফাতিমা যুক্তরাষ্ট্রের টুফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরা থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন।