মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জোটের গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ‘আড়াই ঘন্টার এম.পি’ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সমঝোতায় জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় শাহজাহান আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।
রোববার বিকেল ৪টায় সহকারি রিটানিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
১৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচনে জয়ী হওয়া শাহজাহান আলমকে দ্বাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। শাহজাহান আলমের জয়ের মাধ্যমে ৫০ বছর পর এ আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। শাহজাহান আলম শপথ নেওয়ার আড়াই ঘন্টা পর তফসিল ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। যে কারণে শাহজাহান আলম সাজু নিজেকে ‘আড়াই ঘন্টার এম.পি’ হিসেবে বলে বেড়িয়েছেন।
রবিবার বিকেলে ফোন করা হলে শাহজাহান আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নির্দেশনা মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, এ আসনটিতে আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে আব্দুল হামিদ ভাসানী না রেজাউল ইসলাম দলীয় প্রতীক পান সেটি এখন দেখার বিষয়। আসনটিতে রেজাউল ইসলামের শশুর সাবেক এম.পি ও জাতীয় পার্টি নেতা জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করছেন।
রেজাউল ইসলাম ভূইয়া রবিবার বিকেলে সাংবাদিকদেরকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই আসন থেকে তিনি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমানকে সরাইল-২ আশুগঞ্জ আসনে দুইজন প্রার্থীর নামের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার নাম এসেছে। এ আসনটিতে কে থাকবে সেটি জাতীয় পার্টি নির্ধারণ করবেন বলেও ডিসি জানান।