কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের সময় বাড়িয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ ১৫ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে— কোভিড সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ১০০ জনের বেশি লোকের সমাবেশ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে লাগবে টিকার সনদ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— চলমান বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ সংশোধনপূর্বক সার্বিক কার্যাবলি বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এ বিধিনিষেধ আগামী ৭-২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
উন্মুক্ত স্থান ও ভবন অভ্যন্তরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্
সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
এর আগে ২১ জানুয়ারি ছয় দফা বিধিনিষেধ সংবলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়— ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে টিকা সনদ অথবা আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে।
সব অফিস, শিল্পকারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। বাসার বাইরে সব জায়গায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা, তা স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদারক করবে।
প্রসঙ্গত কোভিড সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়ে গেছে। বুধবার তার আগের গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৩ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।