প্রেমের টানে মেক্সিকোর তরুণী বাংলাদেশে

সারাদেশ, 22 November 2021, 356 বার পড়া হয়েছে,

ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে প্রেমের টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন তরুণী। নাম তার ‘গ্লাডির্স নাইলি ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়ার্স’ (৩২)।

২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশি ছেলে রবিউল হাসান রোমনের (২৮) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে।

এই সম্পর্কের টানে রোববার সকালে মেক্সিকোর ওই তরুণী  বাংলাদেশে চলে আসে। রোমন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সমাজে ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা অহরহ ঘটলেও প্রেমের টানে দেশ ছাড়ার ঘটনা এ যুগে বিরল। রোববার সকালে মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন নাইলি। পরে রোমনের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আদালতে তাদের বিয়ে হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেক্সিকোর এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম হয় নাইলির। মেক্সিকো ইউনিভার্সিটি থেকে (সাইনোক্লোজি) বিষয়ের ওপর পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে ফুড ব্যবসায়ী হিসেবে বিজনেস করেন। তার পিতা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।

২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোমনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রেমের টানে সব কিছু ছেড়ে সে চলে আসেন বাংলাদেশে। পরে সে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা জজকোর্টের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ১ লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে রবিউলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে তার ছেলে তাদেরকে আগেই জানিয়ে ছিলেন। পরে তারা পরিবারের সবাই মিলে বিমানবন্দরে গিয়ে নাইলিকে গ্রহণ করেছেন। পরে জজকোর্টের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করে ছেলের বউকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে রবিউল হাসান রোমন বলেন, আড়াই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সে প্রেমের টানে মেক্সিকো যাওয়া জন্য অনেক চেষ্টা করে। তবে যেতে পারেনি। অবশেষে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে টুরিস্ট ভিসায় সে আমাকে বিয়ে করার জন্য বাংলাদেশে এসেছে।

এ নিয়ে পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন জানান, মেক্সিকো থেকে এক তরুণী চর পোগলদিঘা গ্রামে এসেছে। তারা জর্জ কোর্টের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক কোর্ট-ম্যারেজ করে গ্রামের বাড়িতে ছেলের পরিবারের কাছে এসেছে।