জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়ন এবং যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বন্দরের উন্নয়ন, যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এজন্য ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। বেনাপোলের পরে এই বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পারাপার করে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে কিভাবে কম সময়ে ঝামেলামুক্তভাবে সর্বোত্তম সেবা দেওয়া যায়। সেজন্য বন্দর এলাকায় কিছু জায়গা অধিগ্রহণ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।আখাউড়া স্থলবন্দরের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। বন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে আখাউড়া একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক হচ্ছে। ফোরলেন সড়ক এবং বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ হয়ে গেলে আগামি ২ বছরের ভিতরে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বহু যাত্রী যাতায়াত করে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন এমনকি ভারতীয় হাইকমিশনের লোকজনও এ বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে। সেজন্যই এ বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। আজ থেকে বেনাপোলের সাথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ভ্রমণ ভিসা চালু করেছে। এজন্য এ বন্দর দিয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এর আগে তিনি সকাল সাড়ে দশটায় আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানী কারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ও সিএন্ডএফ সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা প্রমূখ তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে তিনি ৮ সদস্যের একটি দল নিয়ে আগরতলা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করতে আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেন। এসময় সীমান্তের শূন্য রেখায় আগরতলা স্থলবন্দরের ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।