নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন আয়ানা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সূফিগুরু শাহাজাদা খান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে দরিদ্রের শীতবস্ত্র ও শিল্পীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সুর সম্রাট দি-আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
খুব সাদামাটা হাস্যজ্জল অত্যান্ত সুন্দর মনমানসিকতার আবরনে পরিচিত মুখ সূফিগুরু শাহজাদা খান। তাঁর পুরো নাম পীরজাদা খান মোহাম্মদ আরেফ শাহ। তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পীরে মোকাম্মেল শাহসূফি আলহাজ্ব খান মোহাম্মদ লাল শাহ (মাঃজিঃআঃ) বাবার দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দিনিশীন বড় ছাহেবজাদা। তিনি খুব অল্পসময়ে জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন। ছোটকাল থেকেই তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী এবং সংস্কৃতিমনা। দরবার শরীফ বলতে যেখানে অধিকাংশ সময়েই শুনা যায় দানবাক্স নিয়ে বসে থাকার নানান কথা, সেখানে তাঁকে দেখা যায় মানুষের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। বহুগুনে গুণান্বিত এই মানুষটি একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর প্রতিষ্ঠান খান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস বিগত চার বছরে জয় করে নিয়েছে সকল প্রবাসীদের মন। সর্বদা হাস্যজ্জ্বল এই মানুষটি একজন আধ্যাত্নিক গবেষকও বটে।
তাঁর আধ্যাত্নিক গবেষনার গতি আর ভক্তদের প্রতি তার ভালবাসা দেখে তাঁর বাবা তাঁকে সূফিগুরু উপাধিতে ভূষিত করেন। দরবারে ভক্তদের সাথে আলোচনায় তিঁনি যেমন গভীর তেমনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তিনি অত্যান্ত দক্ষ। মানুষের মনজয় করা এই মানুষটি অনেকগুণের মাঝে আরো একটি গুন হলো তিনি একজন লেখক। তাঁর লিখা একটি বই ‘ভবঘুরের তেপান্তরে’ ২০১৬ সালের ২১ শে বই মেলায় প্রকাশিত হয় এবং ব্যাপক জনপ্রীয়তা অর্জন করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপাতত ভক্তদের সুখ দুঃখের অংশিদার হয়ে থাকতে চাই। মানুষের কল্যানে থাকতে চাই। আর আধ্যত্নবাদ আর সূফিবাদের মধ্য দিয়েই স্রষ্ঠার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পারিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি আব্দুল মান্নান সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর মো. শামীম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, তিতাস বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল মতিন শানু।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সাবেক পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, রোকেয়া সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, পিস ভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, কবির কলমের সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, কবি আজীজা সোপান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি শূফিগুরু শাহাজাদ খান, সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন, সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান সরকার, প্রচার সম্পাদক জিন্নাত নারজিয়া স্নিগ্ধা প্রমুখ।
এতে শতাধিক দরিদ্রদের শীতবস্ত্র ও অর্ধশতাধিক কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীদের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘মো. শামীম হোসেন, ‘মো. আবুল আজাদ’, ‘মো. শফিকুল ইসলাম তৌছির’, ‘শূফিগুরু শাহাজাদ খান’ ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘আদিত্ব্য কামাল’কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, নান্দনিক উপস্থাপক আবদুল মতিন শিপন, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, আমানুল্লাহ মুর্তজা।