ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুই পুলিশকে গুলিবিদ্ধ করে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মাদক কারবারিরা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও তিন-চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মাদক কারবারি মন্নাফ ওরফে মনেকের (৫০) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ।
কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় সে। তার ছেলে শিপনও ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ।
আটকের খবর পেয়ে তার ছেলে শিপনসহ কয়েকজন মাদক কারবারি দু’দিক থেকে পুলিশের ওপর হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মনেকসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মাদক কারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও এসআই রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আটক মনেককে ছাড়িয়ে নিতে তার ছেলে শিপন ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষা করতে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
তবে সন্ত্রাসীরা দুই পুলিশ সদস্যকে গুলিবিদ্ধ করে মনেককে নিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ এসআই রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারবারি ও ডাকাত মন্নাফ ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।