ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আমিনপুরের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার ছোট ভাই লোকমান মিয়ার চান্ডালখিল এলাকায় তার স্টোন ক্রাসারের ব্যবসা রয়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমিনপুর ট্রাক আসা-যাওয়া করায় সড়ক ভেঙে গেছে। তার ট্রাক আসার সুবিধার্থে মঙ্গলবার বিকেলে ভেকু মেশিন দিয়ে সড়কের পাশে থাকা বসতবাড়ি ও জমির মাটি কেটে সড়ক ভরাট শুরু করেন। বাড়িঘরের বাসিন্দা ও জমির মালিকরা বিনা অনুমতিতে মাটি কেটে নেওয়ায় প্রতিবাদ করেন। এনিয়ে লোকমানের সাথে আমিনপুরের কয়েকজন যুবকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লোকমান স্থানীয় মালি মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়াকে চড় দেন এবং গাছের ঢালা দিয়ে মারধর করেন। এসময় মাসুক গাছের ঢালাটি ধরে ফেলায় লোকমান আরও ক্ষুব্ধ হন। পরে তার নিজ গ্রাম ছয়বাড়িয়া গিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমিনপুর বাজার ও বাড়িঘরের হামলা করেন। এর নেতৃত্ব দেন লোকমানের বড় ভাই ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ফারুক মিয়া। বাড়িঘরে হামলার পাশাপাশি দোকান লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫জন আহত হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলের ভাই লোকমান ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে মাটি নিয়ে যাওয়াও প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে ছয়বাড়িয়ার লোকজন একযোগে আমিনপুরের বাড়িঘরে ও দোকানপাট হামলা করে ভাংচুর-লুটপাট চালায়। আমিনপুরের লোকজনও আত্মরক্ষায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশেষ করে এই মামলায় স্থানীয় কাউন্সিলর, তার বড় ভাই মোস্তফা কামাল ও ছোট ভাই লোকমান হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।