কসবায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, অটোরিকশা চালককে গণধোলাই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 September 2023, 107 বার পড়া হয়েছে,

নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে রিপন মিয়া (৪০) এক অটোরিকশা চালককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাবী রুবি আক্তার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ধর্ষক রিপন মিয়াকে আসামী কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষনে অভিযুক্ত রিপন মিয়া জয়পুর গ্রামের মৃত চারু মিয়ার পুত্র।

মামলার বাদী প্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাবী রুবি আক্তার জানান, উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের বাড়ীর সামনে তাদের একটি মুদি দোকান আছে। জয়পুর গ্রামের অটোচালক রিকশা রিপন মিয়া সদাই কেনাকাটার জন্য দোকানে আসা যাওয়া করতো। এই সুযোগে বাদীনির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ননদের সংগে রিপনের পরিচয় হয়।

পরিচয়ের সুবাদে রিপন তাকে প্রায় সময় খাবার কিনে দিতো। ননদের সরলতাকে পুজি করে রিপন তার সংগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অটোরিক্সার গ্যারেজে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষন করে। ঘটনার পর বিষয়টি ভাবীকে জানায় ওই কিশোরী। ভাবী রুবি আক্তার ধর্ষক রিপনকে হাতেনাতে ধরতে গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে অটোরিক্সা গ্যারেজের সামনে রিপনের অটোরিক্সাটি দেখতে পেয়ে সেখানে যান রুবি আক্তার।

একপর্যায়ে রুবি আক্তার গ্যারেজের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ননদকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধর্ষন করছে রিপন। ঘটনা দেখে ভাবী রুবি আক্তার চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এসময় রিপন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন রিপনকে আটক করে গনপিটুনি দিয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় ভিকটিমকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গনপিটুনিতে আহত ধর্ষক রিপন মিয়াকে পুলিশ পাহাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল বাছেত সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রিপন মিয়া পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাকে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।