নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ না দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আবেদনকারীদের গ্যাস সংযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কর্ণফুলীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ, সঙ্গে ছিলেন আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও আফরোজা সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আইনে বলা আছে ডিমান্ড নোটের (চাহিদাপত্র) পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা জমা নেওয়া হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের গ্যাস সংযোগ দিতে সরকার বাধ্য। কিন্তু টাকা জমা নেওয়ার পর নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও তাদের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি বরং তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ আর চালুর সুযোগ না থাকায় ডিমান্ড নোটের পরিপ্রেক্ষিতে যারা টাকা জমা দিয়েছিলেন তাদের ক্রস চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি গ্রাহক ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর নূর ও মহাসচিব একেএম অলিউল্লাহ হক ও সাধারণ গ্রাহক মো. নুরুল আলম গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।