নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছর বয়সের এক শিশু ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শিশুটির মা বাদী হয়ে গত শনিবার সকালে ওই শিশুর সহপাঠী আরেক শিশু ও তার অভিভাবকসহ চারজনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিশুটিকে ওই দিন দুপুরে তাদের হেফাজতে নিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত শিশুটিকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও শিশু দুজনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে কেন্দুয়ার মোজাফফপুর ইউনিয়নের ওই শিশুটির বাবা মারা যান। এ সময় শিশুটির বয়স প্রায় এক বছর ছিল। এরপর এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার মা একই ইউনিয়নের বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে সেখানে নানির কাছে তাদের রেখে তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। গত ২০১৮ সালে সেখান থেকে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান।
এ দিকে মেয়েটি তার নানির কাছে থেকে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছিল। চলতি বছরের গত ২২ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে একই স্কুলের সহপাঠী এক শিশুর বিরুদ্ধে। ওই শিশুটির বয়স ১২ বছর পাঁচ মাস ২২ দিন। এরপর একাধিকবার শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ তোলা হয় অভিযুক্ত ওই শিশুর বিরুদ্ধে। বর্তমানে শিশুটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর শিশুটির মা সৌদি আরব থেকে বাবার বাড়িতে ফিরেন। তিনি মেয়ের কাছ থেকে এ ঘটনা জেনে গত শনিবার সকালে অভিযুক্ত ওই শিশুকে প্রধান আসামিসহ তার বাবা-মা ও এক স্বজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই দিন দুপুরে শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে ওই ছাত্রীর সহপাঠীর বাবার দাবি, তার ছেলে নির্দোষ। এ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা শত্রুতা করে আমার ১২ বছরের অবুঝ ছেলেটার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সঙ্গে আমাদের কেউ মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলা কারাগারের সুপার মো. আবদুল কুদ্দুস বোরবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, শিশুটিকে রোববার বিকালে গাজীপুরে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।