মানববন্ধনে সচেতন নাগরিক সমাজের প্রধান সমন্বয়ক কমরেড নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন,জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শামসুল আলম,আলী আহমদ ও মো: মালেক মিয়া।
পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে প্রতিদ্বন্দি এই প্রার্থীদের ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে জেলায় ১০ কোটি টাকার বেশী হাতিয়েছেন ভোটাররা। যতো প্রার্থী তাদের দুয়ারে ধর্না দিয়েছেন সবার কাছ থেকেই টাকা রেখেছেন। কোন কোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার ভোট বিক্রি করেছেন আড়াই-তিন লাখ টাকাতে। জেলা পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড তথা সরাইল উপজেলায় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধি ৫ জনের সঙ্গেই ভোট দেয়ার ওয়াদাবদ্ধ হয়ে লাখ লাখ টাকা নেন ভোটাররা। টাকার সঙ্গে তারা স্বর্ণালংকারও নিয়েছেন এক সদস্য প্রার্থীর কাছ থেকে। জেলার অন্যান্য আসনের সংসদ সদস্যদেরকে দল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পাশ করাতে টাকা ঢালতে হয়েছে। এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বত্র টাকার বিনিময়ে ভোট কেনাবেচা হয়। প্রত্যেক ভোটার তাদের নিজের ভোটের নিলাম তুলেন। প্রার্থীরা এরই মধ্যে এনিয়ে মুখ খুলছেন এবং টাকা আদায়ের জন্যে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। টাকা নেয়ার সময় ভোটারদের অনেকে কসম খেয়েছেন,ওজু করে নামাজের জন্যে প্রস্তুত অবস্থায় টাকা গ্রহন করে প্রার্থীকে আশ্বস্থ করেন যে,আমি আপনাকেই ভোট দেব বলে। সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে টাকার জন্যে তারা কতোটা বেপড়োয়া ছিলেন তার প্রমান দিয়েছেন। তাদের এসব কীর্তি কান্ড জেলার সর্বত্র ঘৃনার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছেন। -(সরোদ)