মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : দেশে যখন গ্যাস সংকট চরমে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাৎসব। কোন ভাবে যেন এটি প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করা হলেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কতিপয় অসাধু কর্মকতা
কর্মচারীদের যোগসাজসে একটি চক্র অবৈধ গ্যাস সংযোগে মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার যেমন বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষ ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে অচিরেই এই বিষয়ে যৌথঅভিযান পরিচালনা করা হবে।
সরকারি ভাবে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে র্দীঘ যাবত। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনের প্রতি তোয়ক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে একটি চক্র, তা চালিয়ে যাচ্ছে র্দীঘদিন যাবত। বিভিন্ন সময়ে নামে মাত্র অভিযান চালানো হলেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। জেলা সদর সহ সরাইল ও আশুগঞ্জে আবসিক ও ব্যাণিজ্যক মিলে ২৪ হাজার বৈধ গ্রাহক থাকলেও অবৈধ সংযোগের পরিমান অনেক বেশি। এতে সার্ভিস লাইনে চাপ কমে যাওয়ায় বৈধ গ্রাহকদের দুর্ভোগের যেন সীমা নেই, দেশে যখন গ্যাস সংকট চরমে তখন থেমে নেই ব্রাহ্মণবাড়িয় এ চক্রটি । এরা পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার রামরাইল, সিন্দুউড়া, সুহিলপুর, ঘাটুরা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বৈধ গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন গ্যাস পাচ্ছেনা।
ভোক্তভুগীরা বলেন ,অফিসের লোকজনই সংযোগ দেয় তারাই আবার কেঁটে নেয়। আমাদের কাছ থেকে প্রতিটি সংযোগ বাবদ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমরা ব্যাংকে নিয়মিত বিল দিচ্ছি, তারপর আমরা কিভাবে অবৈধ। আমরা এর সঠিক বিচার চাই, বৈধ গ্রাহকরা বলেন, অবৈধ গ্রাহকদের কারনে আমরো গ্যাস পাচ্ছি না।
সচেতন নাগরিক কমিটির এড: আব্দুল নূর সভাপতি, এই প্রতিনিধি ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্টিবিশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.শাহ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে আমরা দ্রুত যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো। অবৈধ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।