শেখ রাজেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজার থানারকান্দিতে গরু চুরি অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। থানারকান্দি সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিনিয়তই চুরি হচ্ছে গরু ও ছাগল। চোরের হাত থেকে ছোট- বড় খামিরা কেউ রক্ষা পাচ্ছেন না। আতঙ্কিত অন্তত ৫ গ্রামবাসী।
এলাকাবাসীসুত্রে জানা যায়, গত এক মাসে থানারকান্দি গ্রামের আলিম মিয়ার দুইটি ,নুরু মিয়ার একটি ,রহমত মিয়ার একটি ও এক হিন্দু গৃহস্থের একটি, সর্বমোট ৫ টি গরু চুরি হয়। ৫ টি চুরিকৃত গরুই আবার টাকার বিনিময়ে ফেরত পায় ভুক্তভোগীরা। এরমধ্যে আলিম মিয়া ৫৫,০০০ টাকা,নুরু মিয়া ৩০,০০০ টাকার বিনিময়ে ফেরত আনেন তাদের চুরি যাওয়া গরু। ভুক্তভোগীরা আবার তাদের চুরি হতে পারে তাদের গরু এই আতংকে বলতেও চাচ্ছেন না গরু ফেরত রহস্য কাহিনী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা কিছু না বলিলেও কথা হয় থানারকান্দি গ্রামের নবনির্বাচিত ইউনিয়ন সদস্য আজিজুল হামিকের সাথে। উনি বলেন,গরুচুরির বিষয়গুলো উনি শুনেছেন এবং ফেরত পাবার কথাও উনি জানেন কিন্তু কেউ এসে অভিযোগ করেননি। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এসে তদন্ত করে গেছেন। উনি নিজেও পালিত গরু নিয়ে খুব আতংকে আছেন বলেও জানান।
অত্র এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার নবীনেগর থানার উপ- পরিদর্শক গোলাম মোস্তফার সংগে মোবাইলে কথা হয় প্রতিবেদকের। উনি জানান,গরু চুরি ও ফেরত প্রসঙ্গে বলেন, উনি নিজেও ভুক্তভোগীদের কাছে গিয়েছেন, তথ্য উপাত্ত কালেকশন করে গরুচোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে,অচিরেই গরুচোর ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান খুব হতাশার সুরে বলেন প্রতিবেশী আলিম মিয়ার দুটিগরু ফেরত পাবার পর আমি নিজে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ সরজমিন এসে তদন্ত করে গেল কিন্তু চুর ধরা পড়লোনা এদিকে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা। গরু নিয়ে পুরো ইউনিয়নবাসী আছে আতংকে। দিচ্ছেন রাতজেগে পাহাড়া।
থানারকান্দি গ্রাম সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এলাকায় বেশির ভাগ মানুষের পেশা কৃষিকাজ। কৃষি কাজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু পালন করে থাকেন। বিশেষ করে প্রান্তিক চাষিদের বাড়িতে দুই-একটি করে গরু পালন করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি চোর সিন্ডিকেট এতটাই বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যার দরুন অধিকাংশ গৃহস্থ রাত জেগে দিচ্ছেন গরু পাহাড়া,কয়েকজন রাত্রিযাপন করছেন গরুর সাথে গোয়ালঘরে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত গরচোরদের গ্রেফতার ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।