নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষনার সময় আসামী রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকসা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায়, সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। সাইদুরের মা তার কোনো সন্ধ্যান না পেয়ে ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে পুলিশ জিডির সূত্র ধরে নিখোঁজ সাইদুরকে খুঁজতে থাকেন। পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদরাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলাটি হিসেবে গ্রহন করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধ্যান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমান।