দ. আফ্রিকায় লরির চাপায় বাবা-ছেলেসহ ৫ বাংলাদেশি নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 25 February 2023, 89 বার পড়া হয়েছে,
প্রবাসী ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় লরিচাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন বাংলাদেশি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত পাঁচ প্রবাসীরই বাড়ি ফেনী জেলায় বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে দেশটির রাজধানী কেপটাউন শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের শরিয়ত উল্যাহর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫), দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের মিলনের নতুন বাড়ির আবদুল মান্নান মিলনের ছেলে দীন মোহাম্মদ রাজু (৩৩), একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর তমিজ উদ্দিন ভূঞা বাড়ির মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে মোস্তফা কামাল পোপেল (৩৫) এবং সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন (৪৫) ও তার ছেলে নাজিম হোসেন (১০)।

দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এরা সবাই ভিসা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে কেপটাউন শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মালবাহী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন বলেন, ‘খবর শুনে আমরা নিহত ইসমাইলের বাড়িতে ছুটে যাই এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
নিহত ইসমাইল হোসেনের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘কেপটাউনের ফ্রান্স অ্যাম্বাসির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ইসমাইলসহ সাত বাংলাদেশী প্রবাসী। পথে একটি লরি তাদের গাড়িকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।বাকী দুইজন আহত হয়েছেন।

ইসমাইল হোসেনের বাবা শরিয়ত উল্লাহ বলেন, ‘১১ বছর ধরে ইসমাইল সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী। দুইমাস পর সে দেশে আসার কথা ছিল। তাই তার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। আমি ছেলেকে হারিয়েছি তবে লাশটি দ্রুত ফেরত চাই।’
নিহত মোস্তফা কামাল পোপেলের ভাই আইনজীবী মোস্তফা জামাল নওফেল বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকা পাড়ি দেন মোস্তফা। মাঝে মাঝে দেশে ছুটিতে আসতেন। তার দুই বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

দক্ষিন আফ্রিকার প্রবাসীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরআগে সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এত সংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়নি। এ ঘটনায় দেশটিতে বসবাস করা বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।