ভোট শেষ হওয়ার ২৬ মিনিট আগে ওলিও’র প্রত্যাখান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 7 January 2024, 34 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোটের সময় শেষ হওয়ার ২৬ মিনিট আগে নির্বাচন প্রত্যাখান করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও। বেলা তিনটা ৩৪ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নির্বাচন প্রত্যাখান করার কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান লাইভে এসে বলেন, ‘অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি নির্বাচন আমি প্রত্যাখান করলাম। নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের জন্য নিবেদন জানাই। আপনারা দেখেছেন সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় কেউ আমাকে সহযোগিতা করে নাই। এটা কি একটা খেলা খেললো বুঝতে পারি নাই। আমাদেরকে মাঠে নামায় দিয়া তারা তাদের কাজ করছে। আমি ঘৃণা জানাচ্ছি। ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি এ নির্বাচনকে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এমন কোনো জায়গা নাই। কোনো জায়গাতেই আমরা দাঁড়াতে পারি নাই। প্রশাসন যে বলছিলো সহযোগিতা করবে তারা কিছু করে নাই। আমার জীবনে ১৪টি নির্বাচন দেখলাম। মানুষ নেতা হতে চায়। এমন জঘন্যভাবে হতে চায় ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার লোকজনকে মারধর করলো। বের করে দিলো। আমি গিয়ে ধরলাম পুরো বই ছাপালো। ছি: এরকম নির্বাচন দিবে ভাবতেও পারি নাই। জেলা প্রশাসকের কাছে বন্ধ করতে বলছি। ওনি করে নাই। এটা জাতির জন্য বিরাট কলঙ্ক হয়ে গেলো। আপনারা যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন চান বন্ধ করেন। এইভাবে জনপ্রতিনিধি হলে তারার কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করছিলাম নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে।’
এর আগে দুপুরে এই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

লিখিত অভিযোগে শেখ ওমর ফারুক বলেন, প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের দলীয় নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছেন। এছাড়া প্রশাসন ও আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা চেয়েও সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ওমর ফারুক।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমি এবং পুলিশ সুপার কেন্দ্র কেন্দ্র ঘুরেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

উল্লেখ, রোববারের ভোটে এ আসনটিতে ৩০ ভাগের বেশি ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে।