স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পদপ্রার্থী আসলাম বিষপানে এবং আয়া পদপ্রার্থী ফাতেমা খাতুন গলায় দড়ি পেঁচিয়ে পরীক্ষার হলেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আসলামকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাতেমাকে উদ্ধার করে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, নিরাপত্তা ও আয়া পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। পরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদটি বাতিল করে পত্রিকায় সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তিনটি পদে ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন বলেন, নিয়োগের কথা বলে ২০২০ সালে মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখন আমাকে চাকরি না দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এদিকে অধ্যক্ষকে টাকা দেওয়ায় আমার স্বামী তালাক দিয়েছেন। কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেই আজ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দুজন অযোগ্য প্রার্থী আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পরিবেশ নষ্ট করায় পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আবু নাইম বলেন, প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় না থাকায় এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মাদরাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই প্রার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। এমন সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে।