মজুরি চাওয়ায় ৪ কিশোরকে আটকে রেখে পেটালেন রাইস মিল মালিক

সারাদেশ, 16 February 2022, 204 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ার শেরপুরে রাইস মিলের ‘তার’ চুরির অপবাদ দিয়ে চার কিশোরের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ইয়াকুব আলী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মজুরির বকেয়া টাকা চাওয়ায় তাদেরকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রামজীবন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলেন- উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনী গ্রামের মেহেদী হাসান (১৩), একই গ্রামের ফিরোজ হাসান (১৬), তুষার (১৫) ও তুহিন (১৩)।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর জামতলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর পার্শ্ববর্তী জোয়ানপুর গ্রামে একটি রাইস মিল রয়েছে। সেখানে ওইসব কিশোর কাজ করে। কিন্তু গত সাতদিনের মজুরি বকেয়া রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালের দিকে মজুরির বকেয়া টাকা চাওয়ায় ইয়াকুব আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানালে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এসময় কিশোরদের বিরুদ্ধে মিলের ‘তার’ চুরির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। এমনকি চুরির অপবাদে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদেরকে মিল ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। সেই সঙ্গে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান বলেন, ‘চার কিশোরের হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শঙ্কার কোনো কারণ নেই।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাই ইয়াকুব আলীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।