সায়েরা বেগম জানান, দুপুরে আমি নিজ বাড়ি থেকে কালিসীমা গ্রামে যাচ্ছিলাম। পায়ে হেটে গোকর্ণঘাট সেতু পাড় হয়ে অটোরিকশায় উঠার প্রাক্কালে দুই যুবক আমার কাছে হাতে সুজির একটি প্যাকেট নিয়ে আসে। যুবক গুলো জানায় সে সুজি বিক্রি করে। আমি ক্রয় করতে চাইলে যুবকটি বলে সুজি খুলে শুকে দেখতে। আমি সুজির গন্ধ শুকে দেখার পর নিজের হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যাই। পরে তাদের কথা মতো হাটতে থাকি। কিছুদূর যাওয়ার পর নিরিবিলি জায়গা দেখে তারা আমাকে দুই কানে থাকা দুল ও গলার চেইন খুলে দিতে বলে। আমি কথা মতো স্বর্ণালংকার গুলো খুলে দেই৷ এর কিছুক্ষণ পর আমার জ্ঞান ফেরে। কিন্তু এরই মধ্যে দুই প্রতারক প্রায় দেড় লাখ টাকার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এসে এক বেকারির সিসি ক্যামেরা থেকে প্রতারকদের ছবি বের করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘সুজির সাথে হয়তো কোন প্রকার চেতনানাশক দিয়ে এই কাজটি করেছে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।