আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য শোকাবহ একটি দিন। ২০১১ সালের এইদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২ জনের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ১০টায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ১১ ছাত্রলীগ নেতার স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ। বাদ জুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল।
২০১১ সালের এই দিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সফরসঙ্গী হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ সন্তান।
এরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী আলম শান্ত (৩১), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস আরিফুল ইসলাম বাবু (৩০), জেলা ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন লিয়েন (২৮), মোর্শেদ আলম (২৯), শাহজাহান রহমতুল্লাহ রুমেল (২৮), অ্যাডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ (২৯), শেখ রায়হান উদ্দিন (২৮), হাফেজ আবদুল্লাহ মাসুদ তানভীর (২৯), মো. ইমরানুর রেজা ইমরান (২৮), নূরুল আসিফ চৌধুরী (২৮) ও মিজানুর রহমান (৩৫)। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস চালক মো. আলমগীর (২৮)। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন পাভেল।
এই ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান ১১ ছাত্রলীগ নেতার স্মরণে শুক্রবার সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণের করা হয়েছে।