মো. রুবেল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগের পুলিশি পাহারায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আজ ১১ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সরেজমিন উপস্থিত হয়ে এই অভিযোগের তদন্ত করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.সুমন মিয়া। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.জালাল উদ্দিন আহমেদ ।
তিনি তদন্তকালে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লিখিত ও মৌখিক স্বাক্ষীর বক্তব্য নেন। ইউপি চেয়ারম্যানের লিখিত মতামতও নেন। এ সময় সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইউপি পরিষদ কার্যালয়ের সামনেপুলিশ মোতায়েন ছিল। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইউপি পরিষদ কক্ষে (তদন্তরুমে) সাংবাদিক অথবা অতিরিক্ত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন পরিষদের ১২জন ইউপি সদস্য।
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার হোসেন জন্মসনদ বাবদ ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩শ থেকে ৫শ টাকা, সাব মার্ছিবল টিউবওয়েল প্রদানে সরকার ফি অপেক্ষা করে প্রত্যেক গৃহীতা ব্যাক্তির কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা, ইম্প্রোভমেন্ট টয়লেটের জন্য ৩০ হাজার টাকা, ওয়ারিশ সনদের জন্য ৫ শ টাকা করে নিচ্ছেন অভিযোগে উল্লেখ করেন।
বিকেল সাড়ে ৫ টায় তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে তদন্তরুমে অতিরিক্ত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ সময় অনেকের লিখিত ও মৌখিক স্বাক্ষী নেয়া হয়েছে। আর এই তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।