নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানা আঙ্গিকে বাড়তি চাপ ও ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেডিসনে ডিপ্লোমেটস পাবলিকেশন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা ও নার্কো টেরোরিজম’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানা আঙ্গিকে বাড়তি চাপ ও ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, সীমান্ত নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্য। মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের ভার বহন করতে গিয়ে এই চাপ নিতে হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু আশ্রয় দেয়ার ফলে বাংলাদেশ মাদক, অস্ত্র চোরাচালানসহ সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানা আঙ্গিকে বাড়তি চাপ ও ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। কোনো ধরনের মাদক উৎপাদন না করেও বাংলাদেশই এর ভুক্তভোগী। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার সংকট সমাধানে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবা তৈরি হয় মিয়ানমারে। কিন্তু এর চোরাচালান হচ্ছে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের বাহক ও চোরাচালানকারী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাদকের হার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গা এলাকাকে।
একই সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার পর কীভাবে, কী পরিমাণ মাদকের চোরাচালান বেড়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।