জাকারিয়া জাকির : ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিন দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব শেষ হলো। গত ৬মে থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব প্রতিদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে উৎসবমুখর ছিল শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বর। প্রতিদিন একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, কবি কণ্ঠে কবিতা, নৃত্য, সঙ্গীত ও আলোচনাসহ নানান আয়োজনে বৈশাখী উৎসব মুখরিত ছিল কলকাকলিতে।
রোববার (৮ মে) শেষ দিনের আয়োজনে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় সংগঠনের সহসভাপতি মানিক রতন শর্মা ও সোহেল আহাদের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসকে ঘিরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও লোক সংস্কৃতি পরিষদের যৌথ আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ক একক বক্তৃতা করেন সাহিত্য একাডেমির সদস্য প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর। এছাড়াও সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, তিতাস ললিতকলা একাডেমি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলীয় নৃত্য পরিবেশন ছিল মনোমুগ্ধকর। জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও জেলা খেলাঘর পরিবেশন করেন দলীয় সঙ্গীত। অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির আবৃত্তিশিল্পীরা একক ও ডুয়েট আবৃত্তির পাশাপাশি তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তি শিল্পীবৃন্দ, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একক কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন যা দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ও আবৃত্তি একাডেমি আবৃত্তি পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকৃত প্রতিটি দলনেতাকে সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত দুই বছর করোনাত মহামারীর কারণে বৈশাখী উৎসব উৎযাপন করা হয়নি। এই বছর রোজার মাসে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ঈদের পর সাহিত্য একাডেমি এই উৎসবের আয়োজন করে।