নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সভা চলাকালে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে মারামারিতে তিনজন স্কুল শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ারসার্ভিস অফিস সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- শহরের কাজীপাড়াস্থ আইডিয়েল হাই একাডেমীর ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী একই এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাদাফ।তাদেরকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মী সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এছাড়াও সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সভার শেষ পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সড়কের সামনে চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারিরা। লাঠি-সোঁটা, ছুরি-চাকু ও ব্যাল্ট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কতিপয় সমর্থককে বেধড়ক পেটাতে থাকে৷ এক পর্যায়ে মঠের গোড়া ও পৌরসভার দিক থেকে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনা গুরুতর আহত হয় তিনজন স্কুল শিক্ষার্থী। তারা মহসিন মোল্লার অনুসারী বলে জানা গেছে।
জরুর বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের মাথা ফেটে যাওয়ায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। একজনের সেলাই লাগেনি, তাকে কেবল ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে দুদিক থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উভয় পক্ষের লোকজনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।