শাহরাস্তি উপজেলার করোনা ইউনিট স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স বর্হি বিভাগে স্থানান্তর

সারাদেশ, 10 August 2021, 481 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ রুহুল আমিন : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে পূর্বের ভবন থেকে হাসপাতালের ভিতরের পশ্চিমপাশে অবস্থিত বর্হি-বিভাগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়  স্থানান্তর করা হয়েছে। ১০ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ৫ ঘটিকায় সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির শুরুরদিকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মূলফটক পেরিয়ে সামনে এগিয়ে চিকিৎকদের জন্য নির্ধারিত আবাসিক দ্বিতীয় ভবনে স্থাপিত করোনার বিশেষ ওয়ার্ডের মালপত্র বাহিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসময় জানতে চাইলে দায়িত্ব পালনরত একজনকর্মী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওয়ার্ড এই ভবন থেকে বর্হি-বিভাগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
এবিষয়ে মোবাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাসির উদ্দীন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অধিকতর উন্নত ও কার্যকর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পূর্বে স্থাপিত করোনা ওয়ার্ডটি হাসপালের অভ্যন্তরে থাকা বর্হি-বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পূর্বে স্থাপিত বিশেষ ওয়ার্ডটি হাসপালের বাহিরে চিকিৎসকদের আবাসিক ভবনে ও কিছুটা দূরে হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অসুবিধা হচ্ছে। তাই রোগীদের অধিকতর ভালো সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এই বিশেষ ওয়ার্ডটি বর্হি-বিভাগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্হি-বিভাগের দ্বিতীয় তলায় ১৩ টি এবং তৃতীয় তলায় ১২ টি বেড রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলার করোনা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগকজনক। এই হাসপাতালে প্রতিদিন ২০/২২ জন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স সহ কর্মচারীর অভাব রয়েছে। কিন্তু চিকিৎক ও নার্সগন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের জন্য আরো চিকিৎসক ও নার্স প্রয়োজন।
ডাঃ নাসির উদ্দীন শাহরাস্তিবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে যেকোন কাজে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং মাস্ক ব্যবহার সহ চিকিৎকের পরামর্শ মেনে চলুন।  নিজে বাঁচুন ও পরিবারকে বাঁচান। ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া করোনা থেকে মুক্ত থাকার কোন সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরে করোনার উপসর্গের রোগী রয়েছে। এই রোগীদের অনেকে  হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আসা মোট ২২ জনরোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।