শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল কুড়িঘর গ্রামের নান্দুরা এলাকার সন্তোষ সরকারের ছেলে।
এরশাদের বাবা আবুল কাশেম জানান, স্থানীয় কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলছিল। সেই ওয়াজ মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহতাবস্থায় এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু হায়দার আল রাজী ওসমানী জানান, এরশাদ নামের এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।