অনুপ্রেরণা ও শক্তির উৎস মার্চ – জাকারিয়া জাকির

জনতার কন্ঠ, 1 March 2024, 170 বার পড়া হয়েছে,

শুরু হলো মহান স্বাধীনতার মাস অগ্নিঝড়া মার্চ। ১৯৭১ সালের এ মাসের শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হরমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের উপনিবেশিক শাসন, শোসন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে উঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক দির্দেশনা দেন। বাঙালির এই স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৬ মার্চে বাঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব স্বাধীনতার ঘোষণার পর শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহীনর বাঙালি নিধন অভিযান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।

ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এই আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১-এর মার্চে এসে স্ফুলিংয়ে রূপ নেয়। ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেরে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন যা একটি সংগ্রামী জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের একটি দিন। এর আগেই ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে বাঙালি জাতির উপর নেমে আসে বিভিষিকাময মহুর্ত। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্বরচিতভাবে বাংলাদেশের নিরিহ মানুসের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু করে বিশ্বের ইতিহাসে কলঙ্কজনক গণগত্যা।

এর পরই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই স্বাধীনতার ঘোষণার আগে মার্চে শুরু থেকে স্বাধীনতার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে চুড়ান্ত পর্যায়ের পরিণতির দিকে আগাতে থাকে। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক দির্দেশনা দেন। বাঙালির এই স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৬ মার্চে বাঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব স্বাধীনতার ঘোষণার পর শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহীনর বাঙালি নিধন অভিযান।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসর্পণ করতে বাধ্য হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে(তৎকালিন রেসকোর্স) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর(ভারতীয় বাহিনী) যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। রক্তক্ষয়ী এ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মার্চ মাস বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি মাস।