এক বছরের প্রকল্পে এনজিওটি কিভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরণের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রানের বিষয়ে কাজ করবে। এনজিওটির উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিস্তার বিষয়ক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশের তিন জেলা পরিচালিত গবেষণায় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সোমবার ২৯ জানুয়ারি বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গুজব নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করা এনজিও সেকমিড এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজবের উপর গবেষণা করবে। ইতিমধ্যেই গুজবের নানা দিক নিয়ে তারা এখানকার ৮৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ছয়টি গ্রুপ স্টাডি করেছেন। তাদের এই
প্রাথমিক গবেষণায় দ্রুত গুজব ছড়ানো বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাকমিডের প্রোগ্রাম কনসালটেন্ট ড. শেখ শফিউল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা,ভারপ্রাপ্ত তথ্য অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম,সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান, সাংবাদিক আবদুন নূর, পিযূষ কান্তি আচার্য, বিশ্ব জিৎপাল বাবু, মো. শাহাদাৎ হোসেন, আশেক মান্নান হিমেল প্রমুখ।
মত বিনিময়কালে জানানো হয়, সাকমিডের গবেষণায় উঠে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ৮৬ জনের উপর জরিপ চালানো হয় তাদের মধ্যে শতকরা ৫১ ভাগ জানেন, কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হয়। একাউন্ট খোলা বিষয়ে বাকি ৪৯ ভাগের কোনো ধারণা নেই। ১৩ ভাগ মানুষ জানেইনা কিভাবে ফেসবুক চালাতে হয়। ৭৯ ভাগ মানুষ ফেসবুকে পাওয়া তথ্য বিশ্বাস করে। অনলাইনের সংবাদকে বিশ্বাস করে ৩৭ ভাগ মানুষ।