নিউজ ডেস্ক : ছাত্রলীগ কর্মীদের মারামারির ঘটনায় ভিডিও করায় এক সাংবাদিককে গালাগালি ও তেড়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পুতুল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে আওয়ামী সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে উপলক্ষে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ডাসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম শাফাত রহমান। তিনি বাংলাদেশ টাইমস-এ মোবাইল জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শাফাত রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা মধুর ক্যান্টিন থেকে টিএসসি পৌঁছালে সেখানে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
আমি সে ঘটনার ভিডিও করতে গেলে পুতুল চন্দ্র রায় আমাকে মারতে উদ্ধত হন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরে তার সাথে থাকা কয়েকজন আমাকে সরিয়ে নিতে চাইলে তিনি তখনও ‘ও আমারে কী করবে’ বলে হুমকি দিতে থাকেন।
তার সাথে থাকা একজন বলেন, কমিটি না পাওয়ায় তার মাথা খারাপ।
সংরক্ষিত ভিডিও-তে দেখা যায়, পুতুল চন্দ্র রায় মারতে উদ্যত হলে একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির শাফাত রহমানকে এক পাশে নিয়ে এসে মিটমাটের চেষ্টা করেন। জহিরকে বলতে শোনা যায় ‘আচ্ছা, বাদ দেন, ভাই। ভুল করে ফেলেছে’।
তখনও পেছন থেকে পুতুল চন্দ্র রায় গালাগাল করতে থাকেন। শাফাত রহমান বলেন, ‘আপনি এভাবে বিহেভ করছেন কেন?’ এসময় পুতুল বলে, ‘ও আমারে কী করবে?
এই বিষয়ে অভিযুক্ত পুতুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনাদের সাংবাদিকতায় আমি আর বিশ্বাস করি না। আমার বিরুদ্ধে যা লেখার লেখেন, যান। আমি সাংবাদিককে মারার জন্য তেড়ে যায়নি। আমি তাকে বলেছি, ‘এটা সিলি (তুচ্ছ) ঘটনা।
আপনি ভিডিও কেন করতেছেন?’ তিনি আমাকে প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি কে?’ আমাদের ক্যাম্পাসে ‘আপনি কে’ এ প্রশ্ন করবে, তাহলে ওই সাংবাদিক কে? পুতুল বলেন, ‘এই কথা বলায় যদি তাকে তেড়ে গিয়ে মারা হয়ে থাকে আপনি যা লেখার লিখে দেন। আমার বিরুদ্ধে যা লেখার লেখেন।
এদিকে, আওয়ামী সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোভাযাত্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। মধুর ক্যান্টিন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে মল চত্বরে আসলে সেখানে হাতাহাতিতে জড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন ও জসীম উদ্দীন হল শাখার ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় লাঠি নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর হামলা করেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলেও তাদের সাড়া মেলেনি।