মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর থানায় ভোরে হাতে দা নিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে শহরের দুটি পুকুরে ঝাঁপ দেন।
তবে দ্বিতীয় পুকুর থেকে আর উঠতে পারেননি তিনি। সেই পুকুরে মিলল তার লাশ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পীরবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এদিন সদর থানা পুকুর থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সেনা সদস্য ও ফয়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নিহতের নাম হাদিসুর রহমান নামে (২৯)। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন তিনি।
জেলা সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে তিনি। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন হাদিসুর।
প্রথমে সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে সদর থানার ফটক ডিঙ্গিয়ে ভিতের প্রবেশ করে থানা পুকুরেও ঝাঁপ দেয়।
নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাদিসুর রহমান মাদকাসক্ত ছিলেন। গতরাতে তিনি ঘরের মধ্যে ইয়াবা সেবনের পর ভোর থেকে দা হাতে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কোপাতে থাকেন। পরে শহরের সিও অফিস এলাকায় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। সেখান থেকে হাদিসুর পালিয়ে সদর থানার ফটক ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে থানা পুকুরেও ঝাঁপ দেন। পরে তিনি উঠে না আসায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা পুকুর থেকে হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
হাদিসুরের মা আলেয়া বেগম ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাদিসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী বেগমের সাথে তার আগের স্বামীর যোগাযোগ নিয়ে প্রায়ই কলহ চলত। এমনকি আগের স্বামী মনির বর্তমান স্বামী হাদিসুরকে মারধরও করেছিল। এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন হাদিসুর। তারা হাদিসুরের মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।