আদালতে দায়ের করা মামলার এজহারে উল্লেখ্য করা হয়, ২০১৯ সালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্টার রোলে ‘অফিস সহায়ক’ পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এই পদে চাকুরির জন্য উপজেলার গুনারা গ্রামের মৃত রহমত হোসেনের মেয়ে হোসনা আক্তার আবেদন করেন। এই পদে চাকুরির পূর্ণ নিশ্চয়তার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্যের ছেলে মাইনুল হাসান তুষারের সাথে যোগাযোগ করেন। মাইনুল হাসান তুষার এই পদে চাকুরির জন্য হোসনা আক্তারের কাছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। পরে হোসনা আক্তার নিজের স্বর্ণ-গহনা বিক্রয় ও কর্জ করে চাকরি পাওয়ার আশায় সেই টাকা যোগাড় করেন। ২০১৯ সালের ৫ জুলাই সকালে জেলা শহরের মেড্ডা সবুজবাগে মাইনুল হাসান তুষারের হাতে সাক্ষিদের সম্মুখে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাকরির জন্য দেওয়া হয়। টাকা পাওয়ার পর তুষার তার পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্যের সীল ও সাক্ষরসহ সুপারিশ করা একটি দরখাস্ত হোসনা আক্তারের কাছে দিয়ে তা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দিতে বলেন এবং সিভিল সার্জনের নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে বাসা থেকে বিদায় করেন। অফিস সহায়ক পদে অন্যান্য প্রার্থীদের চাকুরী হলেও সুপারিশকৃত আবেদন জমা দেওয়ার পরও হোসনা আক্তারের চাকুরী হয়নি। পরে লোকজন নিয়ে তুষারের বাসায় গিয়ে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এনিয়ে বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করায় অবশেষে আদালতে মামলা দারের কথা উল্লেখ্য করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম-২ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের হাকিম আফরিন আহমেদ হ্যাপি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্যের ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, যে নারী আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন তার নাম এই প্রথম শুনলাম। আমার বাবা ৬ বারের এমপি। তিনি মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। আজ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি। একটি পক্ষ আমাকে ও আমার বাবাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি প্রমাণ করার পর তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দিব।