ডাঃ আঃ রাজ্জাক দক্ষিণ ইউনিয়নবাসীর চেয়ারম্যান নন, সেবক হতে চান

সারাদেশ, 18 September 2021, 446 বার পড়া হয়েছে,

মোঃ রুহুল আমিন : ডাঃ আবদুর রাজ্জাক রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেরনাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। বেরনাইয়া গ্রামের বিশিষ্টজন মরহুম হাজী আবদুর রহিম মাস্টার ও মৃত আমেনা বেগম দম্পতির ২ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে ডাঃ আবদুর রাজ্জাক সবার ছোট। শিক্ষক বাবার সন্তান হিসাবে তার রক্তে রয়েছে মানুষ আর সমাজের মানুষের প্রতি বিশেষ দরদ। ১৯৬৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর তার জন্ম। ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ও একমাত্র ছেলে হওয়ায় তিনি ছিলেন পরিবারে সবার অতি আদরের।

ছোট বেলা থেকে ডাঃ আবদুর রাজ্জাক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ঠ সমর্থক।

আমাদের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় সংসদের ১নং প্যানেল স্পিকার, ২৬৪ চাঁদপুর (শাহরাস্তি-হাজিগঞ্জ) ৫ আসন থেকে চার বারের নির্বাচিত সাংসদ ও শাহরাস্তি-হাজিগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মহোদয়ের আস্থাভাজন ডাঃ আবদুর রাজ্জাক।

জীবনের শুরুতে তিনি স্কুলে পড়ালেখার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জেলার লাকসামে অবস্থিত সরকারি নওয়াব ফয়জুনেচ্ছা কলেজে অধ্যয়নকালে কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এইচএসসি পাশ করার পর ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২১ অদ্যবদি (দীর্ঘ ৩৪ বছর) রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে তিনি নিজ এলাকায় জোরালো ভূমিকা রাখেন। এসময়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যে কয়টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তিনি সব কয়টি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে কাজ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক হওয়ার কারনে ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। এসময় বেরনাইয়া বাজারে থাকা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে দেয়া হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হাতে বহুবার নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৭দিন পূর্বে তার বসত ঘর ভাঙ্গচুর করে এবং ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐদিন মালামাল লুট করে নিয়ে যাবার সময় তাকে মুখে কাপড় গুজেদিয়ে গলায় দড়ি বেঁধে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায়। এবং পরিবারের স্ত্রী, সন্তানদেরকে মেরে আহত করে। সেযাত্রায় পরিবারসহ তিনি আল্লাহর অশেষ কৃপায় বেঁচে যান। শত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আজও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন তিনি। ঐবছর আওয়ামী লীগের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় তিনি মাত্র ২৫১ ভোটে পরাজিত হন।

ইউপি নির্বাচনে ভোটে হেরে যাওয়ার পরও তিনি থেমে না থেকে আবারও পূর্বের ন্যায় নিজ এলাকায় সরকারে উন্নয়ন কথা ও স্থানীয় এমপি মহোদয়ের উন্নয়নের চিত্র জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন ।এবং প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে উঠান বৈঠক সহ রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যান। ডাঃ রাজ্জাক মনে করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন তা হলে তিনি ইউনিয়নবাসির ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নিবার্চিত হবেন —- ইনশাআল্লাহ।

রায়শ্রী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে এলাকার মানুষ তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান। এলাকারবাসীর প্রাণের দাবী ডাঃ আব্দুর রাজ্জাককে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে নৌকা মার্কা মনোনয়ন দেওয়া হোক।

ডাঃ আবদুর রাজ্জাক পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। নিজের চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি তিনি রাজনীতির একজন সক্রিয়কর্মী। এছাড়া নিজ এলাকায় তিনি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা-মসজিদ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। তন্মেধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, তিনি ১৯৮৭ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ সদস্য, সহ-সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

ডাঃ রাজ্জাক দীর্ঘদিন যাবৎ প্রথমে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন বিট পুলিশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। বেরনাইয়া বাজারের কমিটির সাবেক সেক্রেটারী, বেরনাইয়া বাজার পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি, এবং খিলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ- মাদ্রাসা, মন্দির, সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত দান-অনুদান দিয়ে থাকেন এবং অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে লেখাপড়ার সহযোগীতা করে আসছেন। এবং মহামারী করোনাকালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে আসছেন।

ডাঃ আবদুর রাজ্জাক জীবনভর গরিব-অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে আসছেন। তিনি আরোও ভালো করে এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের সেবা করতে চান। তার এই ইচ্ছাপূরণ তখনই সম্ভব হবে যদি তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার সুযোগ পান। তাই এলাকার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দীতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। ডাঃ আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ‘রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নবাসীর চেয়ারম্যান নন, সেবক হতে চান’।