বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে তরী বাংলাদেশ এর পাঁচ উপজেলায় কর্মসূচি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 25 June 2025, 39 বার পড়া হয়েছে,

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫খ্রি. বিশ্ব পরিবেশ উপলক্ষে তরী বাংলাদেশ ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা শাখার উদ্যোগে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে তরী বাংলাদেশ সরাইল উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মো. শাহাগীর মৃধার সঞ্চালনা ও আহবায়ক মো. মাহবুব খান বাবুলের সভাপতিত্বে সরাইলের ধরন্তী বিলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মোশারফ হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
কসবায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে তরী বাংলাদেশ কসবার শাখার সদস্য সাইদুল ইসলাম এর সঞ্চালনা ও কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল খায়ের স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. ছামিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিজয়নগরে তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলার সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসাইনের সঞ্চালনা ও আহবায়ক মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম।

তরী বাংলাদেশ এর নাসিরনগর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব নিশাত সুলতানার সঞ্চালনা ও আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী।

তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন পলিথিন অপচনশীল পদার্থ, এর পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকে, ফলে মাটি ও পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও গুণাগুণ নষ্ট করে। পলিথিন জলাবদ্ধতা, নদী দূষণ, নদীর জীববৈচিত্র ও নাব্যতা বিনষ্ট করে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০০২ সনের ৬নং আইনে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি কোনো সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপণ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে বা উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন।

পরিবেশ আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে এগুলো কাগজে-কলমে থেকে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরো বেশি আন্তরিক হতে আহবান করছি।
তরী বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে নদীমাতৃক বাংলাদেশের সর্বসাধারণ যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসবেন এটাই হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের স্বার্থকতা।